ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ দেহে ওজন সংক্রান্ত নানা ধরণের রোগের বাসা বাঁধা। সেকারণে ওজন বাড়ার প্রতি সকলের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যতোটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। খাদ্য তালিকায় বাড়িয়ে দেয়া উচিত প্রোটিনের পরিমাণ।

কারণ গবেষণায় দেখা যায় প্রোটিন আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং সেই সাথে দেহে এনার্জি সরবরাহও করে থাকে প্রচুর। তাই আজকে চিনে নিন এমন ৬ টি খাবার যা প্রোটিনের বেশ ভালো উৎস। এবং এগুলো ওজন কমাতে বেশ সহায়ক।

কাঠবাদাম
আমাদের কাছে স্ন্যাকস মানেই অস্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু এই অভ্যাস দূর করতে ১ মুঠো কাঠবাদাম খেয়ে নিন। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর দুটো বৈশিষ্ট্যই এর মাঝে বিদ্যমান। প্রোটিনের বেশ ভালো একটি উৎস যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধা নিবারন করবে ও ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

কুমড়োর বিচি
কুমড়োর বিচি অনেকেই ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। বিকেলে একটু ভেজে খোসা ছাড়িয়ে অথবা সাধারণ তরকারীতে শিমের বিচির মতো ব্যবহার করতে পারেন প্রোটিনের এই বিশেষ উৎসটিকে।

ডিম
ওজন কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? সকালে, বিকালে এবং রাতের খাবারে রাখুন কুসুম ছাড়া ডিম। দিনে ৩/৪ টি কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যায়। এবং যদি কুসুম সহ খেতে চান তবে ১/২ টি ডিম খান।

তৈলাক্ত মাছ
অনেকের মাছ খেতে পছন্দ না হলেও মাছ প্রাণীজ প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সুতরাং ওজন কমিয়ে রাখতে ও সুস্বাস্থ্য চাইলে খাদ্যতালিকায় মাংসের পরিবর্তে মাছ রাখুন।

ডাল
ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধার উদ্রেক করতে বাঁধা প্রদান করে। এতে করে অনেকটা সময় আপনি হাবিজাবি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

দই
স্ন্যাকস হিসেবে প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বেশ ভালো একটি খাবার। রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে এর জুড়ি নেই। তবে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন কৃত্তিম দই নয়। ভালো কোনো বিশ্বস্ত দোকানের দই অথবা বাসায় বানানো দই খাওয়া ভালো। বাসায় দই বানালে এতে চিনি ব্যবহার না করাই ভালো।



সূত্র: প্রিয় লাইফ

 
Top