0

ফোলা ঠোঁট দেখতেও খারাপ লাগে এবং খুব যন্ত্রণাদায়কও। ঠোঁট এই রকম ফুলে থাকলে তা কেটে ব্লিডিং হতে পারে যখন আপনি কথা বলবেন, খাবেন, কোন কিছু পান করবেন, অথবা কোন কারণে মুখ খুলে থাকলে। ঠোঁট ফুলে যাওয়ার সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে ঠোঁটে একধরনের নরম টিস্যুর জন্য। তাছাড়া আরও কিছু কারণ হল- আবহাওয়ার পরিবর্তন, পুষ্টির ঘাটতি, ভাইরাল ইনফেকশন, পানি শুন্যতা, পোকার কামড়, এলার্জি, এবং ঠোঁটের জন্য সস্তা পণ্য ব্যবহার করা। বিভিন্ন মেডিসিনের মাধ্যমেও এই সমস্যা রোধ করা যায়। কিন্তু আপনি চাইলে এই সমস্যা ঘরে বসেই সহজে রোধ করতে পারেন।
 
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমোটারি উপাদান যা ঠোঁট ফুলে থাকা সমস্যা রোধ করতে খুব সহায়ক। তাই এই ঠোঁট ফুলে থাকা সমস্যায় ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা।
  • অ্যালোভেরা জেল অথবা অ্যালোভেরা জুস সরাসরি আক্রান্ত ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
  • আক্রান্ত ঠোঁটে হালকা করে ম্যাসেজ করুন যেন অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটের সব জায়গায় পৌঁছায়।
  • এই উপায়ে দিনে ২/৩ বার অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন।
মধু
মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা খুব দ্রুত ঠোঁট ফুলে থাকার সমস্যা রোধ করে থাকে। এবং মধু ঠোঁট ময়শ্চার রাখে, ইনফেকশন দূর করে, জ্বালাপোড়া ও ব্যথা রোধ করে।
  • একটি কটন বলে ২ চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
  • তুলোতে লাগানো মধু আক্রান্ত ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন।
  • ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন।
  • ভালো ফলাফলের জন্য দিনে ২/৩ বার ঠোঁটে মধু ব্যবহার করুন।
হলুদ
হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে এবং যেকোন ক্ষত রোধ করতে সাহায্য করে। তাই ঠোঁট ফুলে থাকা সমস্যায় হলুদের ব্যবহারও খুব সহায়ক।
  •  সামান্য হলুদের গুঁড়ো নিয়ে তা মূলতানি মাটির সাথে ঠাণ্ডা দিয়ে মিশিয়ে নিন।
  • এই পেস্ট আক্রান্ত ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
  • পেস্টটি শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  দিনে ২ বার এই পদ্ধতি মেনে চলুন ঠোঁটের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমানোর জন্য।

Post a Comment

 
Top