0

সেলেনা গোমেজের কথা বলতে গেলে কোনটা দিয়ে শুরু করা উচিত? গান, অভিনয় কিংবা পপ তারকা জাস্টিন বিবারের সঙ্গে প্রেমজনিত ঘটন-অঘটন। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তাঁর নাম খুব পরিচিত। এ সপ্তাহে তো জাস্টিন বিবার আর সেলেনা গোমেজের ভাঙা প্রেম জোড়া লাগার সম্ভাবনার গুজবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সয়লাব হয়ে আছে। সে যা-ই হোক, সেলেনা গোমেজের কিন্তু গুণের শেষ নেই। মানবকল্যাণে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে। ২০০৮ সালে তিনি যুক্ত ছিলেন ‘ইয়োর ভোট কাউন্টস’ কর্মসূচির সঙ্গে। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বারাক ওবামা ও জন ম্যাককেইন সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করা হয়। একই বছর তিনি সেন্ট জুডস শিশু হাসপাতালের ‘রানওয়ে ফর লাইফ’ তহবিল গঠনে অংশ নেন। পুয়ের্তো রিকোতে ছিন্নমূল কুকুরদের সাহায্য করছে ডু সামথিং ডট ওআরজি নামের প্রতিষ্ঠান। সেলেনা এই প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত। কঙ্গোতে খনিজ পদার্থ নিয়ে যুদ্ধ আর নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছেন তিনি।

২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ডিজনি ফ্রেন্ডস ফর চেঞ্জ’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংস্থাটি পরিবেশবান্ধব আচার-ব্যবহারের বিষয়ে আলোকপাত করে। সেলেনা গোমেজ, ডেমি লোভাতো, মাইলি সাইরাস আর জোনাস ব্রাদার্স মিলে ‘সেন্ড ইট অন’ শিরোনামে একটি গান তৈরি করেছেন। গানটি বিক্রি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ ‘ডিজনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড কনভারসেশন’ শীর্ষক তহবিলে জমা হয়। গানটি বের হওয়ার পর ‘বিলবোর্ড হট হানড্রেড’ তালিকার ২০তম স্থানে অবস্থান করে।

২০০৯ সালে সেলেনা গোমেজ আগে থেকে না জানিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস এলিমেন্টারি স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের চমকে দেন। তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পর সমাজের জন্য কিছু করার জন্য আহ্বান জানান।
এমনিভাবে গান আর পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কাজ করছেন মানুষের জন্য। তাঁর মতে, এই কাজে যে আনন্দ তা আর কিছুতে তিনি পাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না।

সূত্র : প্রথম আলো

Post a Comment

 
Top