0
 

শীতের বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকে। এই ঠান্ডা বাতাস ত্বকের সংস্পর্শে এসে চামড়ার আর্দ্রতা চুরি করে নেয়। ত্বকের আর্দ্রতা চলে গেলে চেহারার কমনীয়তা থাকে না চামড়া খসখসে হয়ে যায়। এ সময় ত্বকের কিছু বাড়তি যত্ন দরকার।

১. সব ঠিকঠাক থাকলে ত্বকের গ্রন্থিগুলো (গ্ল্যান্ড) থেকে অবিরাম ‘সেবাম’ নামের একধরনের তেল বেরোয় যা ত্বক মসৃণ রাখে। কিন্তু শীতের শুষ্ক বাতাস তা শুষে নিয়ে বিপদ ঘটায়। তাই প্রথম কাজ হলো ত্বকের সেবাম টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা। এ জন্য সাধারণত মুখে কোল্ড ক্রিম ও শরীরে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। এরা কিন্তু চামড়াকে তেলতেলে করে না। বরং ত্বকের তেলতেলে ভাবটা যেন ঠান্ডা বাতাস চুরি করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করে। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষাই তার কাজ। আসলে সে ত্বক ও ঠান্ডা বাতাসের মাঝখানে একটা দেয়াল তৈরি করে। ফলে চেহারার কমনীয়তা নষ্ট হয় না।

২. হাত ও মুখের চামড়া সব সময় বাতাসের সংস্পর্শে থাকে বলে বেশি ভঙ্গুর। হাতের ত্বকের অবস্থা আরও করুণ। কারণ, হাতের চামড়ায় তরল সরবরাহের গ্রন্থি কম থাকে। তাই হাতের জন্য বিশেষ ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

৩. পায়ে গ্লিসারিন মাখুন। রুক্ষতা কাটাতে এর জুড়ি নেই।

৪. বেশি গরম পানিতে গোসল করবেন না। অবশ্য শীতকালে একটু বেশি গরম পানিতে গোসলের মজাই আলাদা। কিন্তু এতে চামড়ার শুষ্কতা বাড়ে। তাই কুসুম গরম পানিতে গোসল করাই ভালো।

৫. পানি খাবেন বেশি করে। কিন্তু মনে করবেন না যে সেই পানি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে। বেশি পানি খেলে চামড়া বেশি সতেজ থাকবে, এমন ধারণা ভুল। আসলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি খেতে হবে। শরীর ঠিক তো সব ঠিক!

                                                                      তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট প্রকাশিত বই হোম রেমিডিজ, ২০০৪

Post a Comment

 
Top