ত্বকের অন্যান্য অংশের চেয়ে আমরা মুখের দিকে একটু বেশিই নজর দিই। তাই মুখের ত্বকে দাগ পরলে কারোই ভালো লাগে না। আবার যদি তা হয় মেছতার দাগ তাহলে তো দুশ্চিন্তার শেষ নেই। মেছতার সমস্যা কেন হয়, কী তার লক্ষণ বা মেছতা হলে প্রতিরোধে কী করা উচিত তা নিয়ে রয়েছে নানা ভুল অনেকে তা জানেন না। ফলে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই জেনে নিন মেছতা বিষয়ক নানা তথ্য।
মেছতা মূলত বংশগত সমস্যা। এছাড়াও ত্বকে মেলানিন জমে মেছতায় পরিণত হতে পারে। শুরুতে এটি বিক্ষিপ্ত তিলের মতো থাকে। ফলে অনেকেই এগুলোকে তিল ভেবে ভুল করেন। সাধারণত গাল ও নাকে মেছতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া পেট, কাঁধ, বাহুসহ শরীরের যে কোনো খোলা অংশেও এটি হতে পারে। ব্যক্তিভেদে এর রং হয় বিচিত্র। কারো কারো লালচে, হলুদ, তামাটে, হালকা বাদামি বা কালো রঙের মেছতাও দেখা দিতে পারে। গ্রীষ্মে দাগগুলো আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। শীতে দাগ হালকা হতে শুরু করে।
বয়ঃসন্ধিকালে মেছতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। দুবছরের পর থেকে কোনো কোনো শিশুর মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। মধ্যবয়সীদের মুখেও এর প্রকোপ চোখে পড়ে।
মেছতা দুধরনের হয়, সাধারণ মেছতা এবং রোদেপোড়া মেছতা। সাধারণ মেছতার রং লালচে তামাটে কিংবা বাদামি। ফর্সা ত্বকে এগুলো বেশি হতে দেখা যায়। যাদের চুল লালচে আর চোখের রং হালকা তাদের ত্বকে এই মেছতা বেশি হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে দাগ ছড়ানোর আগেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রোদেপোড়া মেছতার রং কিছুটা গাঢ়। এগুলো শীতকালেও হালকা হয় না।
মেছতা প্রতিরোধে করণীয়
বংশগত সমস্যা হলেও খানিকটা যত্ন নিলে মেছতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু মুখে একবার মেছতার দাগ বসে গেলে পরবর্তী সময়ে দাগ দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা যে কেবল মেছতায় আক্রান্তদের জন্য নিতে হবে তা নয়, সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য। আসলে রোদ থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারলে মেছতা থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। এ জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।
মেছতা মূলত বংশগত সমস্যা। এছাড়াও ত্বকে মেলানিন জমে মেছতায় পরিণত হতে পারে। শুরুতে এটি বিক্ষিপ্ত তিলের মতো থাকে। ফলে অনেকেই এগুলোকে তিল ভেবে ভুল করেন। সাধারণত গাল ও নাকে মেছতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া পেট, কাঁধ, বাহুসহ শরীরের যে কোনো খোলা অংশেও এটি হতে পারে। ব্যক্তিভেদে এর রং হয় বিচিত্র। কারো কারো লালচে, হলুদ, তামাটে, হালকা বাদামি বা কালো রঙের মেছতাও দেখা দিতে পারে। গ্রীষ্মে দাগগুলো আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। শীতে দাগ হালকা হতে শুরু করে।
বয়ঃসন্ধিকালে মেছতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। দুবছরের পর থেকে কোনো কোনো শিশুর মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। মধ্যবয়সীদের মুখেও এর প্রকোপ চোখে পড়ে।
মেছতা দুধরনের হয়, সাধারণ মেছতা এবং রোদেপোড়া মেছতা। সাধারণ মেছতার রং লালচে তামাটে কিংবা বাদামি। ফর্সা ত্বকে এগুলো বেশি হতে দেখা যায়। যাদের চুল লালচে আর চোখের রং হালকা তাদের ত্বকে এই মেছতা বেশি হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে দাগ ছড়ানোর আগেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রোদেপোড়া মেছতার রং কিছুটা গাঢ়। এগুলো শীতকালেও হালকা হয় না।
মেছতা প্রতিরোধে করণীয়
বংশগত সমস্যা হলেও খানিকটা যত্ন নিলে মেছতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু মুখে একবার মেছতার দাগ বসে গেলে পরবর্তী সময়ে দাগ দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা যে কেবল মেছতায় আক্রান্তদের জন্য নিতে হবে তা নয়, সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য। আসলে রোদ থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারলে মেছতা থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। এ জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ হয়।
- বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ, ওড়না বা আঁচল মাথায় জড়িয়ে নিন। সম্ভব হলে চওড়া ঘেরের টুপি পরুন।
- ঘাড়-পিঠ ঢাকা, ফুলহাতা জামা পরুন।
- সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যবর্তী সময়ে চেষ্টা করুন রোদের মধ্যে কম বের হতে।
- বাইরে বের হলেও ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন এবং ছাতা ব্যবহার করুন।
- শিশুদের সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ুন। স্কুলে বা পার্কে খেলাধুলার সময় রোদ থেকে তাদের পক্ষে দূরে থাকা অসম্ভব।
মেছতা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ধৈর্য
- ব্লিচিং বা ফেডিং ক্রিম : বাজারে নানা ব্র্যান্ডের ব্লিচিং-ফেডিং বা ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে মেছতার দাগ ক্রমশ হালকা হয়ে যায়। তবে এসব ক্রিম ব্যবহারের পর রোদে বের হওয়া যাবে না। তাতে ত্বক পুড়ে যায়।
- ক্রায়োসার্জারি : তরল নাইট্রোজেন দিয়ে করা ছোটখাটো সার্জারির নাম ক্রায়োসার্জারি। তবে এতে মেছতার দাগ পুরোপুরি দূর হয় না।
- লেজার ট্রিটমেন্ট : লেজার ট্রিটমেন্ট ক্রায়োসার্জারির মতোই সহজ ও নিরাপদ। এতে মেছতার দাগ যেমন পুরোপুরি চলে যায়, তেমনি কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
- ফটোফেসিয়াল এটি অনেকটা লেজার ট্রিটমেন্টের মতোই। তবে ফটোফেসিয়াল পদ্ধতি আমাদের দেশে খুব একটা প্রচলিত হয়নি। ফেসিয়াল পার্লার বা স্পাতে নানা ধরনের ফেসিয়াল করা হয়। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে মেছতার দাগ কমে যায়।
সূত্র : রূপ কেয়ার
Post a Comment