0

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম প্রধান একটি অঙ্গ। মানুষের শরীরে দুইটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহ থেকে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে দূর করার কাজটি করে থাকে। কিন্তু প্রতিনিয়ত অবহেলার কারণে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ প্রাণঘাতী কিডনি রোগে আক্তান্ত হয়ে থাকেন।

কিডনির রোগ হচ্ছে নিরব ঘাতক। কারণ এটি মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত কেউ টের পান না। তাই আমাদের নিজেদের সুস্ততার কারণে কিডনির সুস্ততা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদেরই কিছু বাজে অভ্যাস এবং ভুল কাজ প্রতিনিয়ত নষ্ট করে দিচ্ছে কিডনির কর্মক্ষমতা।

কম পানি পান করা
সুস্থ থাকতে আমাদের প্রয়োজন দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা। কিন্তু অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম পানি পান করে থাকেন। বিশেষ করে শীতকালে আরও অনেক কম পানি পান করা হয়। এতে করে দেহের দূষিত পদার্থ টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে যা কিডনি ছেঁকে দূর করতে পারে না। যার ফলে নষ্ট হতে থাকে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা। ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি।

অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
আমাদের দেহে লবণের চাহিদা থাকে শুধুমাত্র ১ চা চামচ পরিমাণে। এর চাইতে বেশি লবণ খেলে তা আমাদের দেহেই রয়ে যায়। এতে করে কিডনির কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই লবণ এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা বেশি জরুরী।

প্রস্রাব চেপে রাখা
অনেকেরই এই বাজে অভ্যাসটি রয়েছে। প্রস্রাব চেপে রাখার কাজটি কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এতে ব্লাডারে মারাত্মক চাপ পরতে থাকে এবং আমাদের মুত্রথলিতে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে যা কিডনি ইনফেকশনের জন্য দায়ী। তাই কখনোই প্রস্রাব চেপে রাখার মতো ভুল কাজটি করবেন না।

অতিরিক্ত কফি পান করা
আগস্ট ২০০৪ ‘জার্নাল অফ ইউরোলজি’তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে,‘কফির ক্যাফেইন প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে যা কিডনি ছেঁকে বের করতে পারে না, যা পরবর্তীতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে, এই ক্যালসিয়াম অক্সালেটই কিডনির পাথর নামে পরিচিত’। সুতরাং অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকুন, বিশেষ করে খালি পেতে একেবারেই কফি পান করবেন না।
 
 ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে থাকে। যার কারণে কিডনি ড্যামেজ সহ নানা ধরণের কিডনি রোগ দেখা দেয়।
 
অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া
প্রোটিন হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে। বিশেষ করে প্রাণীজ প্রোটিন। এই প্রাণীজ প্রোটিনগুলো আমাদের হজমশক্তি কমিয়ে দেয় যার প্রভাব পড়ে আমাদের কিডনির উপর। এতে করে ধীরে ধীরে কিডনি তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট

Post a Comment

 
Top