মোবাইল ফোনের কর্মক্ষমতা কমানোর জন্য ফেসবুককে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা আপনার অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে ? কিন্তু এর জন্য দায়ী কে ? কোনো অ্যাপ নয়তো ? অ্যান্ড্রয়েডচালিত ফোনের শক্তিক্ষয় বা বাজে পারফরম্যান্সের জন্য বেশ কয়েকটি অ্যাপসের সন্ধান পেয়েছেন অ্যান্টি ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিজির গবেষকেরা । তাঁরা দাবি করছেন, আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা নিঃশেষ করার জন্য প্রধানত ফেসবুক অ্যাপটিকেই দায়ী করা যায়। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের জীবনের প্রায় সব অবসরটুকুই এখন ফেসবুক ব্যবহার করেই কাটছে। কিন্তু জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটির অ্যাপটি আপনার মোবাইল ফোনটির কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দিচ্ছে।
দ্রুত চার্জ খেয়ে ফেলা, অধিক জায়গা দখল করা ও ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ হিসাব করে পারফরম্যান্স নিঃশেষকারী অ্যাপ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। অবশ্য মোবাইলের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য শুধু ফেসবুককে দায়ী করা ঠিক হবে না। আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন, গেম ও বোল্টওয়্যার রয়েছে, যা আমাদের অগোচরেই মোবাইল ফোনের প্রসেসিং ক্ষমতা কমায়, ব্যাটারির চার্জ খায়। অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিজি সম্প্রতি ১০ লাখ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে চার্জখেকো. কর্মক্ষমতা কমানো বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের তালিকা তৈরি করেছে।
এভিজির তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোনে প্রি-ইনস্টল বা আগে থেকেই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইনস্টল করা অ্যাপসও মোবাইলের কর্মক্ষমতা কমানোর জন্য দায়ী। চার্জখেকো এ ধরনের ১০টি অ্যাপের মধ্যে তিনটিই আবার স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি। এ ছাড়াও নিউইয়র্ক টাইমস–এর মতো খবরের অ্যাপ্লিকেশনও চার্জ খেয়ে ফেলা ও তথ্য ধারণ ক্ষমতার স্থান দখল করে রাখার জন্য দায়ী। এভিজির গবেষকেরা বলছেন, ‘আমরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে যতখানি সময় কাটাই তার মধ্যে ৬২ শতাংশ গেম খেলি। তাই গেমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলো মোবাইলে চার্জ শেষ করার জন্য বেশি দায়ী। এ ক্ষেত্রে ক্যান্ডি ক্রাশের মতো জনপ্রিয় গেমের নামও তালিকায় রয়েছে। আরও পড়ুন: চার্জখেকো অ্যাপস মোবাইল ফোনের পারফর্মমেন্স কমিয়ে দেয় যেসব অ্যাপস ফেসবুক, পাথ, ৯গ্যাগ ফানি পিকস অ্যান্ড ভিডিওস, ইনস্টাগ্রাম, স্পটিফাই মিউজিক, বিবিএম (ব্ল্যাকবেরি), কিউকিউ(টেনসেন্স টেকনোলজি), টেক্সটপ্লাস ফ্রি টেক্সট অ্যান্ড কলস, ওয়াটপ্যাড ফ্রি বুকস অ্যান্ড স্টোরিজ, আইফানি। ব্যাটারির চার্জখেকো অ্যাপস অলশেয়ারকাস্ট ডংগল এস/ডব্লিউ আপডেট (স্যামসাং), চ্যাটঅন ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও চ্যাট (স্যামসাং), বিমিং সার্ভিস ফর বিপ‘এন’গো (মোহেম), ম্যাজিক অ্যাপ: ফ্রি কলস (ম্যাজিক ল্যাক ভোকালটেক), স্যামসাং ওয়াচঅন ট্যাবলেটস, ফেসবুক, পাথ, পিপিএস ফর মোবাইল, ভল্ট-হাইড এসএমএস পিকস অ্যান্ড ভিডিওস, আল-মোয়াজিন লাইট প্রেয়ার টাইমস।
ফোনের জায়গা দখলকারী ১০ অ্যাপ
এভিজির তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোনে প্রি-ইনস্টল বা আগে থেকেই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইনস্টল করা অ্যাপসও মোবাইলের কর্মক্ষমতা কমানোর জন্য দায়ী। চার্জখেকো এ ধরনের ১০টি অ্যাপের মধ্যে তিনটিই আবার স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি। এ ছাড়াও নিউইয়র্ক টাইমস–এর মতো খবরের অ্যাপ্লিকেশনও চার্জ খেয়ে ফেলা ও তথ্য ধারণ ক্ষমতার স্থান দখল করে রাখার জন্য দায়ী। এভিজির গবেষকেরা বলছেন, ‘আমরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে যতখানি সময় কাটাই তার মধ্যে ৬২ শতাংশ গেম খেলি। তাই গেমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলো মোবাইলে চার্জ শেষ করার জন্য বেশি দায়ী। এ ক্ষেত্রে ক্যান্ডি ক্রাশের মতো জনপ্রিয় গেমের নামও তালিকায় রয়েছে। আরও পড়ুন: চার্জখেকো অ্যাপস মোবাইল ফোনের পারফর্মমেন্স কমিয়ে দেয় যেসব অ্যাপস ফেসবুক, পাথ, ৯গ্যাগ ফানি পিকস অ্যান্ড ভিডিওস, ইনস্টাগ্রাম, স্পটিফাই মিউজিক, বিবিএম (ব্ল্যাকবেরি), কিউকিউ(টেনসেন্স টেকনোলজি), টেক্সটপ্লাস ফ্রি টেক্সট অ্যান্ড কলস, ওয়াটপ্যাড ফ্রি বুকস অ্যান্ড স্টোরিজ, আইফানি। ব্যাটারির চার্জখেকো অ্যাপস অলশেয়ারকাস্ট ডংগল এস/ডব্লিউ আপডেট (স্যামসাং), চ্যাটঅন ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও চ্যাট (স্যামসাং), বিমিং সার্ভিস ফর বিপ‘এন’গো (মোহেম), ম্যাজিক অ্যাপ: ফ্রি কলস (ম্যাজিক ল্যাক ভোকালটেক), স্যামসাং ওয়াচঅন ট্যাবলেটস, ফেসবুক, পাথ, পিপিএস ফর মোবাইল, ভল্ট-হাইড এসএমএস পিকস অ্যান্ড ভিডিওস, আল-মোয়াজিন লাইট প্রেয়ার টাইমস।
ফোনের জায়গা দখলকারী ১০ অ্যাপ
নিউ ইয়র্ক টাইমস-ব্রেকিং নিউজ, ট্যাংগো মেসেঞ্জার ভিডিও অ্যান্ড কলস, স্পটিফাই মিউজিক, ফেসবুক, ক্রোম ব্রাউজার, ৯ গ্যাগ ফানি পিকস অ্যান্ড ভিডিওস, ইনস্টাগ্রাম,লাইন ক্যামেরা-সেলফি অ্যান্ড কোলাজ, ভাইন, টকিং অ্যাঞ্জেলা।
ব্যাটারি খেকো গেমিং অ্যাপ
পাজল অ্যান্ড ড্রাগন, হে ডে, ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা. মাইক্রাফট-পকেট এডিশন, কুকি জ্যাম, পেট রেসকিউ সাগা, ক্লাশ অব ক্লানস, বাবল উইথ ২ সাগা, ফার্ম হিরোস সাগা. অ্যাংরি বার্ডস।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে গেম খেললে দ্রুত চার্জ শেষ হয়চার্জ সমস্যার সমাধান
কীভাবে এই চার্জ ক্ষয় কমাবেন? এভিজির পরামর্শ হচ্ছে, নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন, কেচ টেম্পরারি ফাইলগুলো মুছে ফেলুন এবং অ্যাপ কী পরিমাণ ডাটা ডাউনলোড করবে তা নির্ধারণ করে দিন। এ ছাড়াও মোবাইলে চার্জ সমস্যার সমাধান নিয়ে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা আপনার কাজে লাগতে পারে।
চার্জ দেব কি দেব না?
মোবাইল ফোন নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা থাকে, পুরোপুরি চার্জ দেব, নাকি অল্প দেব? চার্জ শেষ হয়ে গেলে আবার চার্জে দেব, নাকি অল্প চার্জ বাকি থাকতেই দেব? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে বলছেন, একটা সময় রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলোতে পূর্ণ চার্জ দিলে এবং সেই চার্জ শেষ করে আবার চার্জে দিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করত। গত কয়েক বছরে ব্যাটারির উপাদান ও চার্জ দেওয়ার এই নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনকার অধিকাংশ মোবাইল ফোনে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার দেখা যায়। এ ধরনের ব্যাটারিতে যখন ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ থাকে, তখন সবচেয়ে ভালো কাজ করতে দেখা যায়। তাই সময়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এ নিয়মটি মেনে চললে ভালো।
ব্যাটারির নীরব ঘাতক
ব্যাটারি-সংক্রান্ত অধিকাংশ বিষয়ই মোবাইলের প্রসেসরের ওপর নির্ভর করে। তবে ফোনের ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়ু হবে কি না, তা ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইল ফোনের মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ব্যাটারির আয়ু দ্রুত শেষ করে ফেলতে সক্ষম। এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করলেও সেগুলো ব্যাটারি থেকে চার্জ খরচ করতে পারে।
বেশি তাপে ব্যাটারি কম টেকে
ব্যাটারির দীর্ঘায়ুর সঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি তাপে ব্যাটারি কম টেকে। মোবাইল ফোনটি যদি সব সময় বেশি গরম হয়, তখন ফোনটির ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ট্যাবলেট কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের এ বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীর অবশ্য তেমন কিছু করার থাকে না। তবে মোবাইল ফোন কেনার পর যদি দেখেন তা চালানোর পর বেশি গরম হচ্ছে, তখন এর ব্যাটারির আয়ু সম্পর্কে ধারণা করে নিতে পারবেন।
পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা
স্মার্টফোনের পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে এটি পরিবর্তন করা যায়, আবার কোনো কোনো মোবাইলে ব্রাইটনেস পরিবর্তনের জন্য শর্টকাট কি-ও থাকে।
প্রয়োজন ছাড়া সব বেতার সংযোগ বন্ধ
জিপিআরএস/এজ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো বেতার সংযোগগুলো প্রয়োজনের সময় ছাড়া বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, এই সংযোগগুলো চালু থাকলে সেগুলো নিকটবর্তী সংযোগের উৎসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। আর এই সময়ে যে পরিমাণ ব্যাটারি খরচ হয়, তা সেবা ব্যবহারের সময়ের চেয়েও বেশি।
পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা
ই-মেইল, ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটারসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপলিকেশনে ‘পুশ নোটিফিকেশন’ নামের একটি সুবিধা থাকে। যেটি চালু থাকলে মোবাইল ফোনটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার থেকে নতুন তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে প্রয়োজন না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর ফোনটি নিজের মতো করে কাজ করবে, আর চার্জ খরচ হবে।
মোবাইল কেনার সময় সতর্ক থাকা
মোবাইল ফোন কেনার সময় তাতে কী ধরনের ব্যাটারি রয়েছে তা যাচাই করে নিন। ফোন বেশি গরম হয় কি না, পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ওয়ারেন্টি দেখে কিনুন।
ব্যাটারি খেকো গেমিং অ্যাপ
পাজল অ্যান্ড ড্রাগন, হে ডে, ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা. মাইক্রাফট-পকেট এডিশন, কুকি জ্যাম, পেট রেসকিউ সাগা, ক্লাশ অব ক্লানস, বাবল উইথ ২ সাগা, ফার্ম হিরোস সাগা. অ্যাংরি বার্ডস।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে গেম খেললে দ্রুত চার্জ শেষ হয়চার্জ সমস্যার সমাধান
কীভাবে এই চার্জ ক্ষয় কমাবেন? এভিজির পরামর্শ হচ্ছে, নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন, কেচ টেম্পরারি ফাইলগুলো মুছে ফেলুন এবং অ্যাপ কী পরিমাণ ডাটা ডাউনলোড করবে তা নির্ধারণ করে দিন। এ ছাড়াও মোবাইলে চার্জ সমস্যার সমাধান নিয়ে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা আপনার কাজে লাগতে পারে।
চার্জ দেব কি দেব না?
মোবাইল ফোন নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা থাকে, পুরোপুরি চার্জ দেব, নাকি অল্প দেব? চার্জ শেষ হয়ে গেলে আবার চার্জে দেব, নাকি অল্প চার্জ বাকি থাকতেই দেব? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে বলছেন, একটা সময় রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলোতে পূর্ণ চার্জ দিলে এবং সেই চার্জ শেষ করে আবার চার্জে দিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করত। গত কয়েক বছরে ব্যাটারির উপাদান ও চার্জ দেওয়ার এই নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনকার অধিকাংশ মোবাইল ফোনে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার দেখা যায়। এ ধরনের ব্যাটারিতে যখন ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ থাকে, তখন সবচেয়ে ভালো কাজ করতে দেখা যায়। তাই সময়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এ নিয়মটি মেনে চললে ভালো।
ব্যাটারির নীরব ঘাতক
ব্যাটারি-সংক্রান্ত অধিকাংশ বিষয়ই মোবাইলের প্রসেসরের ওপর নির্ভর করে। তবে ফোনের ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়ু হবে কি না, তা ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইল ফোনের মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ব্যাটারির আয়ু দ্রুত শেষ করে ফেলতে সক্ষম। এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করলেও সেগুলো ব্যাটারি থেকে চার্জ খরচ করতে পারে।
বেশি তাপে ব্যাটারি কম টেকে
ব্যাটারির দীর্ঘায়ুর সঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি তাপে ব্যাটারি কম টেকে। মোবাইল ফোনটি যদি সব সময় বেশি গরম হয়, তখন ফোনটির ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ট্যাবলেট কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের এ বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীর অবশ্য তেমন কিছু করার থাকে না। তবে মোবাইল ফোন কেনার পর যদি দেখেন তা চালানোর পর বেশি গরম হচ্ছে, তখন এর ব্যাটারির আয়ু সম্পর্কে ধারণা করে নিতে পারবেন।
পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা
স্মার্টফোনের পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে এটি পরিবর্তন করা যায়, আবার কোনো কোনো মোবাইলে ব্রাইটনেস পরিবর্তনের জন্য শর্টকাট কি-ও থাকে।
প্রয়োজন ছাড়া সব বেতার সংযোগ বন্ধ
জিপিআরএস/এজ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো বেতার সংযোগগুলো প্রয়োজনের সময় ছাড়া বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, এই সংযোগগুলো চালু থাকলে সেগুলো নিকটবর্তী সংযোগের উৎসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। আর এই সময়ে যে পরিমাণ ব্যাটারি খরচ হয়, তা সেবা ব্যবহারের সময়ের চেয়েও বেশি।
পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা
ই-মেইল, ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটারসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপলিকেশনে ‘পুশ নোটিফিকেশন’ নামের একটি সুবিধা থাকে। যেটি চালু থাকলে মোবাইল ফোনটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার থেকে নতুন তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে প্রয়োজন না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর ফোনটি নিজের মতো করে কাজ করবে, আর চার্জ খরচ হবে।
মোবাইল কেনার সময় সতর্ক থাকা
মোবাইল ফোন কেনার সময় তাতে কী ধরনের ব্যাটারি রয়েছে তা যাচাই করে নিন। ফোন বেশি গরম হয় কি না, পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ওয়ারেন্টি দেখে কিনুন।
(সংগ্রহ - প্রথম আলো)
Post a Comment