0

খাদ্যবিদরা চিনিকে বলে থাকেন সাদা বিষ! পরিশোধিত এই কার্বোহাইড্রেটটি বহু রোগের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রখ্যাত খাদ্যবিদ Dr. Y. Stein পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে, চিনি খেলে দেহে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল সৃষ্টিকারী থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়াশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বেড়ে যায় রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা তথা রক্তের ঘনত্ব। যার ফলে ঝুঁকি বেড়ে যায় সব ধরনের হৃদরোগের। ঠিক এ কারণেই যারা স্বাস্থ্যের প্রতি বিন্দুমাত্র সচেতন তারা ঝুঁকে পড়ছেন চিনির বিকল্পের দিকে। কিন্তু এখন ভেবে দেখার সময় চিনির এই বিকল্পগুলো কি আদৌ নিরাপদ না কি চিনির মতোই ক্ষতিকর? জেনে নিন চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত কিছু খাদ্যের সত্যতা।

মধু

মধু কি চিনির চেয়ে ভালো? বাজারে যে মধু পাওয়া যায় তার ক্ষেত্রে জবাবটা হলো, না! সব রকম শোধিত কার্বোহাইড্রেটই ক্ষতিকারক। এমনকি মধুও। তবে মৌমাছিদের দ্বারা শোধিত হলেও চাক-ভাঙ্গা মধুতে যথেষ্ট খনিজ পদার্থ এবং এনজাইম থাকে বলে তা স্বল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাজারে কিনতে পাওয়া বেশির ভাগ মধুই processed বলে ওসব খাদ্যগুণ এই মধুতে পাওয়া যায় না। তাই মধু খেলেও পরিমিত পরিমাণে খান। চিনির পরিবর্তে অতিরিক্ত মধু খাওয়াও ক্ষতিকর।

গুড়
গুড় দেখতে অতটা ভালো না হলেও গুড়ে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা আর সামান্য প্রোটিন। তবে এটিও এক ধরনের বিকৃত কার্বোহাইড্রেট। তাই মোটের ওপর গুড় ক্ষতি করে চিনির মতোই।

স্যাকারিন
চিনির বিকল্প হিসেবে স্যাকারিনের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু বছর থেকেই। তবে স্যাকারিন খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। কানাডার বৈজ্ঞানিকরা দেখেছেন যে চিনির পরিবর্তে যারা স্যাকারিন খান তাদের ক্ষেত্রে ব্লাডার ক্যান্সারের ঝুঁকি যারা খায় না তাদের চেয়ে ৬০ গুণ বেশি।

তথ্যসূত্র:  ডা. চিন্ময় সেনগুপ্ত, বিনা ওষুধে রোগ নিরাময়, ২০০৩

Post a Comment

 
Top