0

বিকেলের নাস্তা হোক বা সকালের ভারী খাবারের পর দুপুরের খাবারের আগে কিছুটা হালকা নাস্তা হোক, আমরা কিন্তু খুব সহজেই হাতের কাছে থাকা কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়েই ক্ষুধা মিটিয়ে থাকি। বিশেষ করে কেক, পাউরুটি কিংবা ভাজাপোড়া ধরণের খাবারগুলো দিয়ে। কিন্তু এই সামান্য নাস্তা বা স্ন্যাকসের অনেক বড় প্রভাব পড়ছে আপনার পেটের উপর। পেট ও কোমরের কাছে জমে যাচ্ছে মেদ। দিনে দিনে ভারী হয়ে যাচ্ছেন আপনি। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কি? জানতে চান? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক। আকর্ষণীয় মেদহীন সুন্দর কোমর ও পেট পেতে আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু মাত্র নিজের এই নাস্তা বা স্ন্যাকসের অভ্যাসে মাত্র ১ টি পরিবর্তন আনতে হবে। ডায়াটেশিয়ানদের মতে যে কোনো অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকরী স্ন্যাকস হচ্ছে ‘কাঠবাদাম’।

কাঠবাদামে রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন যা আপনার ক্ষুধার উদ্রেক করবে না এবং অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখবে। এর পাশাপাশি কাঠবাদামে রয়েছে নিউট্রিয়েন্টস যা ইনফ্লেমেশনের বিরুদ্ধে কাজ করে, খারাপ কলেস্টোরল কমায়, হৃদপিণ্ডের রোগের হাত থেকে বাচায় এবং কার্ডিওমেটাবোলিক ফাংশন উন্নত করে।

জার্নাল অফ দ্য অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয় ‘আর সাধারণ উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন স্ন্যাকসের পরিবর্তে যদি ১.৫ আউন্স কাঠবাদাম খাওয়া হয় না তবে তা দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে, পেটের মেদ কমায় এবং কোমরের মেদ দূর করে’।

পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ নিউট্রিশনাল সাইন্সের গবেষকগণ পেয়ায় ৬ মাস গবেষণা করে দেখতে পান যারা প্রতিদিনের সাধারণ স্ন্যাকসের পরিবর্তে কাঠবাদাম খান তাদের দেহের খারাপ কলেস্টোরলের মাত্রা প্রায় ৫.২ mg/dL কমে এবং দেহের জন্য ভালো কলেস্টোরল বাড়ায় যেখানে অন্যান্য স্ন্যাকস খাওয়া ব্যক্তিদের ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা কমে প্রায় ১.৮ mg/dL। এবং একই সাথে দেহের মাপ নিয়ে দেখা যায় যারা কাঠবাদাম খান অন্যান্য স্ন্যাকসের তুলনায় তাদের পেটের মেদ অর্থাৎ এবডোমিনাল ফ্যাট অনেকটা কমে আসে।

তারা এখানে ১.৫ আউন্স কাঠবাদাম ব্যবহার করেছেন তবে তারা এটাও বলেন যদিও কাঠবাদাম অনেক স্বাস্থ্যকর তারপরও ফ্যাটের কথা মাথায় রেখে ১ আউন্স অর্থাৎ ২৩ টি কাঠবাদামে যেহেতু ১৬০ ক্যালরি রয়েছে তা চিন্তা করেই খাওয়া উচিত।

Post a Comment

 
Top