1

চুল আমাদের সকলেরই সৌন্দর্যের একটি অংশ। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার জন্য আমরা দেহের পাশাপাশি চুলেরও কোন যত্ন নিতে পারিনা। এবং সাথে সাথে এমন কিছু কাজ করে থাকি না জেনে যা রীতিমত আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। তাই চুলের যত্নে সচেতন হতে জেনে রাখুন কিছু বিষয় যা আপনি করে থাকেন এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যে কাজগুলো আপনার করা মোটেও উচিৎ নয়।

হেয়ার ড্রায়ার সঠিক ভাবে ব্যবহার না করা
চুলের জন্য যখনই আপনি হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন না কেন চুল থেকে সামান্য দুরুত্ব রেখে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করুন। খুব কাছ থেকে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করার কারণে আপনার চুল পুড়েও যেতে পারে। তাছাড়া বার বার হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করায় চুল শুষ্কও হয়ে যায়। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া হেয়ার ড্রায়ায় ব্যবহার না করাই ভালো এবং অন্তত ৫ ইঞ্চি দুরুত্ব রেখে কাজ করুন।

সবসময় চুল বেধে রাখা

অনেকেই আছেন যারা বেশির সময়েই চুল বেধে রাখেন। এবং দিনে একবাএ চুল বাঁধলে তা আর ঠিক করেন না এতে করেও চুল পড়া সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই সবসময় চুল খোলা না রাখলেও মাঝে মাঝে চুল খুলে রাখুন।

চুল খুব শক্ত করে বেধে রাখা
বিশেষ করে যাদের চুল বড় তারা অনেকেই চুল খুব শক্ত করে বেণী করেন কিংবা খোপা করে রাখেন। চুল খুব বেশী শক্ত করে বেধে রাখলে চুলের গোঁড়ায় চাপের সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় চুল গোঁড়া থেকে উঠে আসে। তাছাড়া অনেকেই চুল ঠিকমতো না শুকিয়েই বেঁধে ফেলেন। কিন্তু এই কাজটির কারণে চুলের ক্ষতি হয় তাই চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন।

ঘন ঘন চুল কালার করা
ঘন ঘন চুল কালার করলে চুলের নেক ক্ষতি হয়ে থাকে কারণ কালার করার পণ্য গুলোতে থাকে নানা ধরণের কেমিক্যাল যা চুলের ক্ষতি করে থাকে। তাই খুব বার বার চুল কালার না করে বেশ কিছুদিন বিরতি নিয়ে আবার কালার করা ভালো।

চুলে দীর্ঘক্ষণ তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা
গোসলের পরে অনেক নারীরাই দীর্ঘক্ষণ তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখেন। এতে চুল প্রাকৃতিক ভাবে শুকাতে পারে না। তাই দীর্ঘক্ষণ তোয়ালে না পেঁচিয়ে রাখাই ভালো।

বালিশের কাভার পরিবর্তন না করা
নিয়ম হল প্রতি ১ সপ্তাহ পর পর বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার পরিবর্তন করা। এটি চুল ও ত্বক উভয়ের জন্যই ভালো। দীর্ঘদিন একই বালিশের কাভার থাকলে তাতে ধীরে ধীরে ধুলোবালি জন্মে এবং তা চুল ও ত্বকেরও ক্ষতি করে থাকে। সুতির বালিশের কাভারও অনেক সময় চুলের ক্ষতি করে থাকে। তাই বালিশের কাভার যদি সিল্কের হয়ে থাকে তাহলে তা চুলের জন্য ভালো।

চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার না করা
চুলের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা খুব জরুরি। তাই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

চুলের জন্য ভুল পণ্য ব্যবহার করা
আপনার চুলের ধরণ বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যেখানে সালফেট, ডিটারজেন্ট ব্যহবার না হয় কারণ এই উপাদানগুলো চুল অনেক রুক্ষ করে ফেলে। তাছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু করলেও চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাও সপ্তাহে ৩/৪ বার শ্যাম্পু করুন।

Post a Comment

  1. চমৎকার পোস্ট! আপনার উল্লেখ করা চুল পড়ার কারণগুলো সত্যিই প্রাসঙ্গিক ও তথ্যবহুল। আমি বলতে চাই যে, আমার চুল পড়ার সমস্যায় আমি clopirox shampoo ব্যবহার করছি এবং এটি আমার জন্য বেশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। আমার চুলের অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে এবং চুল পড়া কমেছে। কারণগুলো নিয়ে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ, এবং আপনার অন্য পরামর্শগুলোও চেষ্টা করব!

    ReplyDelete

 
Top