হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীদের পুরো বছরই বেশ সচেতন থাকতে হয়। ধুলোবালি এবং অন্যান্য জিনিস যা অ্যাজমার প্রভাব বাড়ায় সেগুলো থেকে দূরে থাকলে হাঁপানি রোগীরা বেশ সুস্থই থাকেন। কিন্তু শীতের ঠান্ডা শুরুর দিকে বিশেষ সর্তকতার প্রয়োজন পড়ে। শীতে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক থাকায় ধুলোবালি বেশি হয়।
শীতের শুরুতে হাঁপানি প্রতিরোধে করতে যে কাজগুলো করা জরুরী।
- ঘরোয়া জীবাণু মাইট কমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এখনই রোদে কাঁথা কম্বল, লেপ, তোষক দিয়ে নিন। এবং সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কাভারও রোদে দিন।
- শোয়ার সময় বালিশ ঢেকে রাখুন পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে।
- ঘরের কার্পেট, ম্যাট সরিয়ে ফেলুন। নতুবা এগুলোতে ধুলো আটকে থাকবে।
- ঘন ঘন হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক পানি পান করুন। এতে শ্বাসনালীতে তৈরি হওয়া কফ পাতলা থাকবে। এতে করে কাশি কমবে, শ্বাসকষ্ট কমবে।
- সম্ভব হলে পুরো ঘর সপ্তাহে অন্তত ১ বার ভ্যাক্যুয়াম ক্লিন করুন।
- দরজা জানালার পর্দা, মশারি এগুলোও নিয়মিত ধোবেন এবং কড়া রোদে শুকিয়ে নেবেন।
- এলার্জি স্কিন টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিন কোন কোন কারণে আপনার দেহে অ্যালার্জেন ঘটে এবং সেসকল জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
- বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
- নিজে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। এবং বাড়িঘরের অ্যালার্জেন ও হাঁপানির প্রকোপ বাড়ায় এমন জিনিস দূর করুন। ঘর দোরের ধুলো-বালি ঝেড়ে মুছে পরিস্কার রাখুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খান।
সূত্রঃ healthcommunities
কনটেন্ট ও ছবি : প্রিয় ডট কম
Post a Comment